প্রবীর ঘোষ, নামটা শুনলেই দুই বাংলার যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের মধ্যে একটা অদ্ভুত নস্টালজিয়া কাজ করে। কারণ গত শতকের নয়ের দশক থেকে শুরু করে যারাই বাংলাভাষায় কুসংস্কার বিরোধী বইপত্রের চর্চা করেছে তাদের মধ্যে অন্তত একটা ‘অলৌকিক নয় লৌকিক’ বা ‘আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা’ পড়েনি এমন মানুষ বিরল।
প্রবীর ঘোষ ১৯৪৫ সালের ১ মার্চ অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রভাত চন্দ্র ঘোষ ছিলেন রেল কর্মচারী। বাবার বদলির চাকরি, ফলে ছোটবেলায় কোন এলাকায় থিতু হয়ে বসা হয়নি তার। পুরুলিয়ার আদ্রায় তার বাল্যকাল কেটেছিল। তারপর তারা দমদমে চলে আসেন। সেখানেই তিনি স্কুল এবং পরে কমার্স নিয়ে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকা থেকে বক্সিং বিবিধ বিষয়ে তিনি চর্চা করতেন। এরপর স্টেট ব্যাঙ্কে তার কর্মজীবন এবং তার কয়েকবছরের মধ্যেই বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সীমা ঘটকের সাথে তার সংসারজীবন শুরু হয়।
এর পাশাপাশি একটা গঠন প্রক্রিয়া কিন্তু প্রছন্নভাবে চলছিল। বাল্যকাল থেকেই প্রবীর পথের মাদারিদের থেকে হাত সাফাইয়ের কলাকৌশল শিখেছিলেন এবং তার আত্মজীবনী অনুসারে এই জ্ঞানই পরে তাকে বহু তথাকথিত অলৌকিক ঘটনার রহস্যভেদ করতে সাহায্য করে। তার মতে এমন সামান্য উপকরণ দিয়ে এমন অসাধারণ জাদু কৌশল তিনি আর কোথাও দেখেননি। তার এক বিচিত্র দুষ্টুমি ছিল। তিনি যে অলৌকিক ক্ষমতাধর বাবাজিরই সন্ধান পেতেন তার কাছেই দীক্ষা নিয়ে তার বীজমন্ত্রটি জেনে নিতেন। কথিত আছে, প্রকৃত গুরু কানে বীজমন্ত্র দিতে গেলেই শিষ্য আগে কারও কাছে দীক্ষা নিয়েছে কিনা বুঝতে পারবে। অথচ, তিনি দেখলেন সকল গুরুই তাকে নির্দ্বিধায় নিজের বীজমন্ত্রের দ্বারা দীক্ষিত করত। এইসকল অভিজ্ঞতা তাকে যুক্তিবাদের পথে চালিত করে।
গত শতকের আটের দশকে ‘পরিবর্তন’, ‘উৎস মানুষ’ পত্রিকায় প্রবীর ঘোষের কুসংস্কার বিরোধী লেখা ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হতে শুরু করে। স্ত্রী এবং শিশুপুত্র পিনাকী, মাত্র তিনজনের এই টিম নিয়ে তিনি শুরু করলেন অলৌকিকের রহস্যভেদকারী জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম ‘অলৌকিক নয় লৌকিক’ যা আজ একটা ব্র্যান্ড। ১৯৮৫ সালের ১ মার্চ সহযোগী বন্ধুদের নিয়ে দমদমের ছোট্ট ফ্ল্যাটে গড়ে তুললেন তার স্বপ্নের সংগঠন ‘ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি’ যা আজ মহীরুহতে পরিণত হয়েছে। প্রকাশিত হল তার প্রথম বই ‘অলৌকিক নয় লৌকিক’ এর প্রথম খন্ড, যা প্রবন্ধ সাহিত্যে নতুন দিক উন্মোচন করল। আরও আরও বেশি মানুষ সমিতির সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করলেন। এরপর একের পর এক প্রকাশিত হল ‘অলৌকিক নয় লৌকিক’ (২,৩,৪,৫), ‘আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা’, ‘ধর্ম সেবা সম্মোহন’, ‘সংস্কৃতি: সংঘর্ষ ও নির্মাণ’, ‘জ্যোতিষীর কফিনে শেষ পেরেক’। তার ইংরেজি বইয়ের অন্যতম ‘Paranormal Exposed’, ‘The mystery of Mother Teresa and Sainthood’, ‘Why I do not believe in God’। অস্ট্রেলিয়া থেকে রিচার্ড ডকিন্স, জেমস র্যান্ডি সহ পৃথিবীর ৫০ জন বিখ্যাত নাস্তিকদের লেখার সংকলন ‘50 Voices of Disbelief’ প্রকাশিত হয়েছিল তাতেও স্বমহিমায় বিদ্যমান ছিলেন প্রবীর ঘোষ। মৃত্যুকালে তার মোট বইয়ের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০।
বইলেখার পাশাপাশি চলছিল মাঠে নেমে তথাকথিত বাবাজি, মাতাজি, পীর ফকির, ওঝা, গুণিন, জ্যোতিষীদের ভান্ডাফোড়। এসব প্রতারকদের মোকাবিলায় তিনি ঘোষণা করেন যে পৃথিবীর কেউ যদি কোনপ্রকার অলৌকিক ক্ষমতার প্রদর্শন করতে পারেন তাহলে তিনি ৫০ হাজার টাকা প্রণামী দিয়ে সমিতির কাজকর্ম বন্ধ করে দেবেন কারণ পৃথিবীতে অলৌকিক বলে কিছুই হয়না। তার মৃত্যুকালে সেই ঐতিহাসিক চ্যালেঞ্জমানি বাড়তে বাড়তে ৫০ লাখ হয়েছিল এবং তা উইকিপিডিয়ায় লিপিবদ্ধ আছে। বলাইবাহুল্য এত বছরেও কেউ এই চ্যালেঞ্জ জিততে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবেনা।
আঘাত করলে প্রত্যাঘাত আসবে এটাই স্বাভাবিক। প্রবীর ঘোষের আন্দোলন যাদের কায়েমি স্বার্থে আঘাত করেছিল তারাই যুক্তিবাদী সমিতিকে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র করে। ফলত, ১৮ আগস্ট ১৯৯৬ সালে তাকেই সমিতি থেকে বহিষ্কার করার নোংরা ষড়যন্ত্র হয়। যে মানুষটা অনেকের কাছে সুপারহিরো হয়ে উঠেছিল তারই নামে জালিয়াতি, লাম্পট্য সহ নোংরা অভিযোগ শুনে বহু মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে ব্যথিত হয়ে বসে যান। যুক্তিবাদের ইতিহাসে এই ক্ষতি সীমাহীন। এই ষড়যন্ত্রের কিছু প্রেক্ষাপট ছিল বলে মনে করি। প্রবীরদা বলতেন কোন বড় খেলোয়াড় প্রথমেই নিজের সব তাস দেখিয়ে দেয়না। প্রবীরদাও প্রথমে অলৌকিকতার বিরোধিতা করে শুরু করেছিলেন। এরপর তা জনপ্রিয় হতেই তিনি জ্যোতিষের বিরুদ্ধে এবং নিরীশ্বরবাদের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন। এতদিন পর্যন্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা তার নিরপেক্ষতা এবং প্রগতিশীলতার মুখোশ রক্ষা করতে তাকে প্রচার প্রসার দিচ্ছিল। কিন্তু এরপরে ‘ধর্ম-সেবা-সম্মোহন’ বইতে তিনি লিখলেন “সেবা দ্বারা সমাজ পরিবর্তন সম্ভব নয়”। তিনি সেবার ব্যবসা করা ফান্ডেড এনজিও-র বিরুদ্ধে কলম ধরলেন। তার অন্যতম সেরা বই যাকে আমরা যুক্তিবাদী সমিতির ম্যানিফেস্টো বলে থাকি সেই ‘সংস্কৃতি সংঘর্ষ ও নির্মাণ’ বইতে তিনি লিখলেন শোষণ কাঠামোর কথা, তার লেখায় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস থেকে মানবাধিকার হরণ ইত্যাদি জরুরি বিষয় উঠে এল। ফলে এতদিন তাকে প্রচার দেওয়া রাষ্ট্র স্বাভাবিক ভাবেই তার উপর খড়্গহস্ত হল। তারপরে তারই কাছের মানুষদের লোভ দেখিয়ে একে একে ষড়যন্ত্রে সামিল করা হল। যদিও আদালতের রায়ে জয়ী হয়ে তিনিই সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীকালে আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন। কিন্তু বিরোধীপক্ষ এখনো “প্রবীর ঘোষ লম্পট, ১৯৯৬ সালেই বহিষ্কৃত” এই হাস্যকর মিথ্যাচার সর্বত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
তার হাতে পরাজিত ক্ষমতাধরদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন খৃষ্টান দুনিয়ায় জনপ্রিয় মরিস সেরুলো, রেইকি মাস্টার ক্লাইভ হ্যারিস, ফেইথ হিলার পি গ্যালার্ডো, বাংলাদেশের বিখ্যাত ধর্মগুরু হুজুর সাইদাবাদী, ফকিরবাড়ির এস.পি. আলি, মহারাষ্ট্রের মিঠাইবাবা, কোটিপতি জ্যোতিষী আচার্য সত্যানন্দ এবং আরও অনেকে। মনিকা বেসরার টিউমার সারার দাবি করে পোপ মাদার টেরেসাকে সেন্টহুড দেওয়ার যে অপচেষ্টা করেন সেটা বন্ধ করতে পারাই সম্ভবত তার সবচেয়ে বড় অলৌকিকতা বিরোধী অবদান। বাবা রামদেবের সাথে তার লাইভ ডিবেট জনমানসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। NDTV Imagine আয়োজিত অনুষ্ঠান ‘রাজ পিছলে জনম কা’ বন্ধ করতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা নেন। পশ্চিমবঙ্গে তিনি জ্যোতিষীদের প্রফেশনাল ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করিয়েছিলেন। নয়ের দশকে রামকৃষ্ণ মিশন আয়োজিত ধর্ম মহাসম্মেলনে ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষায় রাষ্ট্রপতির অংশগ্রহণ আটকাতে তিনি যে ভূমিকা নিয়েছিলেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অনেকেই জানেনা নয়ের দশকে প্রবীর ঘোষ এবং সুমিত্রা পদ্মনাভনের নেতৃত্বে সমিতির উইং হিউম্যানিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে যে আন্দোলন হয় তারই ফলশ্রুতিতে ভারতে প্রথম আইনি ভাবে ধর্ম কলামে ‘মানবতা’ বা ‘হিউম্যানিজম’ লেখা শুরু হয় যা পত্রপত্রিকায় গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছিল। UGC স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জ্যোতিষচর্চা পড়ানোর যে অপচেষ্টা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মুরলী মনোহর যোশী করেছিলেন তার প্রতিবাদেও প্রবীর ঘোষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। প্রবীর ঘোষ তার জীবনে যে অগণিত অলৌকিকতার দাবিদারদের সম্মুখীন হন তার মাত্র কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিয়ে রচিত হয়েছে তার জনপ্রিয় বই ‘যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা (অখণ্ড)’। তার কর্মজীবন নিয়ে বহু দেশি, বিদেশি মিডিয়া গুরুত্ব সহকারে সংবাদ প্রকাশিত করেছে, ডকুমেন্টারি বানিয়েছে যার অন্যতম হল গুরুবাস্টার্স।
প্রবীর ঘোষের বিরোধী শিবির একটা প্রশ্ন করে থাকে যে বাংলায় যুক্তিবাদ, বস্তুবাদ, নাস্তিকতার প্রসারে আরও বহু স্মরণীয় ব্যক্তি থাকলেও আমরা প্রবীর ঘোষ কে যে গুরুত্ব দিয়ে থাকি তা গুরুবাদী ব্যক্তিপূজার নামান্তর।
আমরা মনে করি ব্যক্তিপূজা যুক্তিবাদের শত্রু, কিন্তু শ্রদ্ধেয় কে শ্রদ্ধা এবং অতিশ্রদ্ধেয়কে অতিশ্রদ্ধা কোনভাবেই দোষ নয়। এই প্রসঙ্গে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য, সুকুমারী ভট্টাচার্য, ভবানীপ্রসাদ সাহু সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নির্মোহ দৃষ্টিতে কিছু কথা বলতে চাই। প্রবীর ঘোষের নামে অনেকে কুৎসা করে যে তিনি এদের বই থেকে টুকে বই লিখেছেন। কিন্তু যতদূর জানি এদের সবার বইয়ের মোট সংখ্যার থেকে প্রবীর ঘোষের বইয়ের সংখ্যা বেশি, ফলে টুকে লেখার হাস্যকর অভিযোগ পাটিগণিতের হিসেবেই বাতিল হয়ে যায়। শুধু বইয়ের সংখ্যা নয় তার গুণগত মান এবং বিষয়বস্তুও এখানে জরুরি বিবেচ্য বিষয়। এইসব বরেণ্য লেখকের বই অবশ্যই বস্তুবাদ কে এগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এসব বই শিক্ষিত সমাজের তাত্ত্বিক ইতিহাস চর্চা ও বিশ্লেষণের ভিতরই সীমাবদ্ধ ছিল। প্রবীরদার বই সহজসরল ভাষায় মাটির কাছের মানুষকে যুক্তিবাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এছাড়া তার কর্মকাণ্ড বইয়ের বাইরে মাঠে ময়দানে অলৌকিক নয় লৌকিক কুসংস্কার বিরোধী অনুষ্ঠান করে মানুষের মধ্যে যুক্তিবাদের বীজ বপন করে। তিনি সরাসরি অলৌকিকতার দাবিদারদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করতেন, ভান্ডাফোড় করতেন। এই হি-ম্যান ইমেজ তাকে অন্যদের তুলনায় বহু যোজন এগিয়ে দেয়।
প্রবীরদার পূর্বসুরীদের ভিতর ডা: কোভুর এভাবে চ্যালেঞ্জ করতেন। কিন্তু তার সীমাবদ্ধতা ছিল তিনি অন্ধবিশ্বাসী হওয়ার জন্য মানুষকেই দায়ী মনে করে দোষারোপ করতেন। মানুষকে অন্ধবিশ্বাসী রেখে দেওয়ার পেছনে রাষ্ট্রের ভূমিকা বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেননি। প্রবীরদার সাথে বাকি বিজ্ঞানকর্মীদের আরও একটা প্রধান পার্থক্য হল অলৌকিকতার ভান্ডাফোড় বা নাস্তিকতার প্রচারকেই তিনি কোন বিজ্ঞান সংগঠনের একমাত্র কাজ মনে করতেন না। তাই অন্যান্য ব্যক্তি বা সংগঠন যেখানে কুসংস্কার মুক্তি বা জনগণকে টেলিস্কোপ দিয়ে গ্রহ, নক্ষত্র চেনানো অথবা বিশেষ চশমা দিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখানোকেই নিজেদের কর্তব্য মনে করত সেখানে তার চিন্তা ছিল সুদূরপ্রসারী। এই বিষয়ে তিনি তার ‘সংস্কৃতি: সংঘর্ষ ও নির্মাণ’ বইতেই জরুরি কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন। পরবর্তী বইগুলোতে আরও বেশি করে প্রান্তিক মানুষের সংগ্রামের কথা উঠে আসতে লাগল। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, মানবাধিকার তথা গণতন্ত্র লুন্ঠনের ঘটনা তার লেখায় উঠে আসতে লাগল। ‘রাজনীতির ম্যানেজমেন্ট’, ‘প্রসঙ্গ সন্ত্রাস’, ‘গেরিলা যুদ্ধের এ টু জেড থেকে আজাদি’, ‘স্বাধীনতার পরে ভারতের জ্বলন্ত সমস্যা’ প্রভৃতি বইতে তার রাজনৈতিক চিন্তার নিদর্শন পাওয়া যায়। আর কোন বিজ্ঞান আন্দোলনের নেতা স্টেট ব্যাঙ্কের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ভাবছে, আদিবাসীদের উপর কর্পোরেট স্বার্থে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হলে প্রতিবাদ করছে এমন উদাহরণ আমার অন্তত জানা নেই। অর্থাৎ বিজ্ঞান আন্দোলনকে তিনি একটা পরিপূর্ণ সাংস্কৃতিক আন্দোলন বা রাজনৈতিক শ্রেণীসচেতনতা সৃষ্টি করে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার মনে করতেন। তিনি একটা শোষণ বঞ্চনামুক্ত সাম্যবাদী পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতেন এবং যুক্তিবাদ ছিল তার হাতিয়ার।
অনেকে বলেন, রক্তের জোর কমলেই মনে ঈশ্বর বিশ্বাস আসবে, অধ্যাত্ববাদী চিন্তা প্রভাব ফেলবে। কিন্তু প্রবীর ঘোষ এমন এক ঋজু মেরুদণ্ডর বিরল ব্যক্তিত্ব ছিলেন যিনি মৃত্যুশয্যায় তার অন্তিম বার্তাতেও বলে গিয়েছেন ঈশ্বর সর্বকালের সেরা গুজব। মানুষ মারা যায়, কিন্তু যুক্তিবাদী সমিতির কাজ থামবেনা অলৌকিকতা বিরোধী অভিযান চলছে চলবে।
সকল মুক্তমনা বন্ধুদের অনুরোধ যেখানেই তথাকথিত অলৌকিকতার গল্প শুনবেন যুক্তিবাদী সমিতির সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আমরা প্রমাণ করে দেব পৃথিবীতে অলৌকিক বলে কখনো কোথাও কিছু ছিলনা, থাকবেওনা।
যোগাযোগ করুন:- bigyanoyuktibadisamiti@gmail.com
মণীশ রায়চৌধুরী:- ৮১০০৮১৪১৮০
সন্তোষ শর্মা:- ৯৩৩০৪৫১৯৭৭
মধুসূদন মাহাতো:- ৯৬৩৫৮৬৬৬১৭
দেবরাজ দাস:- ৯০০৭৬৬১০০৭